সংবাদর্চচা রিপোর্ট:
সিদ্ধিরগঞ্জে ছেলে ধরা সন্দেহে গণধোলাইয়ে এক অজ্ঞাত ব্যাক্তি নিহত হয়েছে। পরে তাকে হাসপাতালে নেয়া হলে কর্মরত ডা.শাহাদাৎ মৃত ঘোষনা করেন। তবে তার কোন পরিচয় পাওয়া যায়নি। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে সিদ্ধিরগঞ্জ শাপলা চত্বর এলাকায়। সেই এলাকায় ছেলে ধরা সন্দেহ অজ্ঞাত এক নারীকে গণধোলাই দেওয়া হয়। গণধোলাইয়ের স্বীকার নারীকে গুরুত্ব আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছ।
শনিবার (২০ জুলাই) সকাল পৌনে ৯টায় সিদ্ধিরগঞ্জ ইসলামী আইডিয়াল স্কুলের সামনে অজ্ঞাত যুবককে ও বেলা পৌনে ১১টায় পাইনাদী শাপলা চত্বর এলাকায় অজ্ঞাত নারীকে ছেলে ধরা সন্দেহে গণপিটনি দেয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক সাখাওয়াত জানান, ৬-৭ বছরের এক মেয়ে শিশুর হাত ধরে নিয়ে যাচ্ছিল ওই যুবক। এ সময় শিশুটি কান্নাকাটি শুরু করলে দুই যুবকের সন্দেহ হয়। তারা ওই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করলে শিশুটি নিজের বলে দাবি করে ওই যুবক। ইতোমধ্যে শিশুটির বাবা ঘটানস্থলে গেলে শিশুটি তার বাবার কাছে চলে যায়।
এ ঘটনায় উপস্থিত লোকজন ওই যুবককে গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পুলিশ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জের খানপুর হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে শাপলা চত্বর এলাকায় ২২ থেকে ২৫ বছরের এক নারী খেলনা ও খাবার দিয়ে এক শিশুকে নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় প্রত্যক্ষদর্শীদের সন্দেহ হলে তারা শিশুটি কার জিজ্ঞেস করলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। পরে এলাকাবাসী তাকে গণপিটুনি দেয়া শুরু করে।
খবর পেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে যায়। তার শারীরিক অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক শাহীদুল ইসলাম।
এবিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মীর শাহিন শাহ বলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ ইসলামী আইডিয়াল স্কুলের সামনে এক ব্যাক্তিকে সাধারণ জনতা গণধোলাই দেন। পরে তাকে নারায়ণগঞ্জ ৩ শ’ শয্যা হাসপতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত ডা. মৃত ঘোষনা করেন। সে শিশু ধরার লোক কিনা তা তদন্তাদিন আছে।